নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের পাটগুদামে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন একসময়কার আলোচিত ব্যক্তি, জাতীয় পার্টির নেতা এবং বিভিন্ন মহলে পরিচিত মাফিয়া হিসেবে খ্যাত মনির চৌধুরী—এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি দ্রুত জেলা প্রশাসনের সার্বিক নজরদারি ও আইনগত উদ্যোগ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের পাটগুদাম দুলদুল ক্যাম সংলগ্ন সরকারি খাস জমি— খতিয়ান নং: এস এ-৪, বিএস-১/১ দাগ নং: এস এ-৬২২, ৬২৩ | বিএস-৭০৬, ৭০৭ শ্রেণী: পতিত জমির পরিমাণ: ০.০৮ একর
১৯৯৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ও দুলদুল ক্যামের তৎকালীন নেতা আবুল পাশা এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া নালিশী দাগের এই ভূমি নিয়ে সরকারের শেষ সেটেলমেন্ট জরিপ চলাকালে ডিপি খতিয়ান নং-১/১ এর অধীনে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রফিকুল ইসলাম (মিস মোকাদ্দমা নং-১৫(xll)/৮৮-৮৯) আদেশে উল্লেখ করেন— মানবিক কারণে দীর্ঘদিন বসবাসরত ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত বিকল্প জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের না সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এদিকে ১৯৯৯ সালে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জনকে আসামি করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে—মামলা নং: ৮৮(১২)/৯৯। অভিযোগ রয়েছে, ওই মামলার ৪ ও ১৬ নং আসামি মুসলেম উদ্দিন ও তনির উদ্দিন সরকারি খাস জমিকে নিজেদের মালিকানাধীন দাবি করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মনির চৌধুরীর কাছে বিক্রি করেন। পরে জালিয়াতির ঘটনায় তারা গ্রেফতার হয়ে কারাভোগও করেন।
আইন অনুযায়ী ১/১ খাস খতিয়ানভুক্ত জমির পূর্ণ মালিক বাংলাদেশ সরকার। তাই খাসজমি উদ্ধার করে সরকারি সাইনবোর্ড স্থাপনসহ সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছে দুলদুল ক্যাম ভূমিহীন সমবায় সমিতি। সমিতির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোফিদুল আলমের নিকট লিখিত আবেদন করা হলেও কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি। এখন নবাগত জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁদের একমাত্র আশা—অতি দ্রুত সরকারিভাবে জমিটি উদ্ধার করা। স্থানীয়রা বলছেন,“সরকারের সম্পদ কেউ জালিয়াতি করে দখল করে রাখতে পারে না। প্রশাসন চাইলে ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার সম্ভব।”এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও।